সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় আসা ১০০ বাগধারা || Job exam preparation
সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় আসা ১০০ বাগধারা
আমরা আগের পোস্টে বলেছিলাম যে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশে সরকারি যে কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় বাগধারা খুবই গুরত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। তাই আজকে আপনাদের জন্য বাগধারা নিয়ে আসলাম। আজকের পোস্টে আমরা 100+ বাগধারা নিয়ে আসলাম, যা বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় নিয়মিত আসে। আশা করি এসব বাগধারা নিয়মিত প্রাকটিসে আপনারা যে কোনে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় এগিয়ে যাবেন।
আজকে বাগধারার কিছু অংশ পোস্টে থাকলো, আর বাকি অংশ পরবর্তী পোস্টে প্রকাশ করা হবে ইনশাল্লাহ।
সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় আসা ১০০ বাগধারা
কাঁচা সোনা = নিখাদ স্বর্ণ।
মনে ধরা = পছন্দ হওয়া।
রাবণের চিতা =চির অশান্তি।
বালির বাঁধ = অস্থায়ী বস্তু।
গোবর গণেশ =মূর্খ।
তামার বিষ = অর্থের কুপ্রভাব।
গোঁফ খেজুরে = নিতান্ত অলস।
একাদশে বৃহস্পতি = সৌভাগ্যের বিষয়।
কেতাদুরস্ত = পরিপাটি।
আক্কেল সেলামি =নির্বুদ্ধিতার দণ্ড।
কুল কাঠের আগুন = তীব্র জ্বালা।
আড়িপাতা = আড়াল থেকে শোনা।
আমতা আমতা করা = ইতস্তত করা।
অক্ষরে অক্ষরে = সম্পূর্ণভাবে।
বক ধার্মিক =ভণ্ড সাধু।
অক্কা পাওয়া = মারা যাওয়া।
আকাশ কুসুম = অসম্ভব কল্পনা।
অমাবস্যার চাঁদ = দুর্লভ বস্তু।
ব্যাঙের সর্দি = অসম্ভব ঘটনা।
পদ্মপাতায় জল = ক্ষণস্থায়ী।
শাপে বর = অনিষ্টে ইষ্ট লাভ।
হালে পানি পাওয়া = সুবিধা করা।
বাঁ হাতের ব্যাপার = ঘুষ গ্রহণ।
অহি-নকুল = ভীষণ শত্রুতা।
আট কপালে = হতভাগ্য।
উড়নচণ্ডী = অমিতব্যয়ী।
চাঁদের হাট = আনন্দের প্রাচুর্য।
নয়ছয় = অপচয়।
শকুনি মামা =কুচক্রী লোক।
হাত গুটান =কার্যে বিরতি।
উত্তম-মধ্যম = প্রহার।
গড্ডলিকাপ্রবাহ = অন্ধ অনুকরণ।
সাক্ষী গোপাল = নিষ্ক্রিয় দর্শক।
পালের গোদা = দলপতি।
দুধের মাছি = সুসময়ের বন্ধু।
একচোখা = পক্ষপাতদুষ্ট।
কানকাটা = নির্লজ্জ।
কংস মামা = নির্মম আত্মীয়।
কাঁচা হাত = অপটু।
খয়ের খাঁ = তোষামোদকারী।
গুড়ে বালি = আশায় নিরাশ হওয়া।
ঘুঘু চরানো = সর্বনাশ করা।
ঘাটের মড়া = মৃত্যু আসন্ন যার।
চুনোপুঁটি = সামান্য ব্যক্তি।
জিলাপির প্যাঁচ = কূটবুদ্ধি।
জগাখিচুড়ি = বিশৃঙ্খল।
টনক নড়া = সচেতন হওয়া।
টাকার কুমির = অনেক টাকার মালিক।
ঠোঁটকাটা = বেহায়া।
ডুমুরের ফুল = অদৃশ্য বস্তু।
তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী।
পটল তোলা = মারা যাওয়া।
পুকুর চুরি = বড় ধরনের চুরি।
বসন্তের কোকিল = সুসময়ের বন্ধু।
ভূশণ্ডি কাক = দীর্ঘকালের অভিজ্ঞ ব্যক্তি।
ভিজা বিড়াল = সাধু বেশে অসৎ লোক।
তুষের আগুন = দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা।
ঢাকের কাঠি = তোষামোদকারী।
যক্ষের ধন = কৃপণের ধন।
ষোলো কলা = সম্পূর্ণ।
হাল ধরা = দায়িত্ব গ্রহণ।
লেফাফা দুরস্ত = পরিপাটি।
অগাধ জলের মাছ = খুব চালাক।
এলাহি কাণ্ড = বিরাট আয়োজন।
অরণ্যে রোদন = বৃথা আবেদন।
অকালকুষ্মাণ্ড = অপদার্থ।
অন্ধের যষ্টি = একমাত্র সম্বল।
অর্ধচন্দ্র = গলাধাক্কা।
আট কপালে = হতভাগ্য।
উড়ো কথা = গুজব।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব = অসম্ভব বস্তু।
কাঁচা-পয়সা = নগদ উপার্জন।
কেউকেটা = সামান্য।
চক্ষু চড়কগাছ = বিস্ময়।
মাথাব্যথা = আগ্রহ।
খণ্ড প্রলয় = ভীষণ ব্যাপার।
গদাই লস্করী চাল = অতি ধীর গতি।
অগ্নিশর্মা = অত্যন্ত রাগান্বিত হওয়া।
আগুন নিয়ে খেলা = ভয়ংকর বিপদ।
কৈ মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে না।
গোড়ায় গলদ= শুরুতে ভুল।
গুড়ে বালি= আশায় নৈরাশ্য।
চোখের পর্দা= লজ্জা।
ননীর পুতুল= শ্রমবিমুখ।
নেই আঁকড়া= একগুঁয়ে।
দহরম মহরম= ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
পুকুর চুরি= বড় রকমের চুরি।
মণিকাঞ্চন যোগ= উপযুক্ত মিলন।
মিছরির ছুরি= মুখে মধু অন্তরে বিষ।
হাটে হাঁড়ি ভাঙা= গোপন কথা প্রকাশ করা।
শাঁখের করাত= উভয় সংকট।
গলগ্রহ= পরের বোঝা হয়ে থাকা।
গোঁয়ার গোবিন্দ= নির্বোধ অথচ হঠকারী।
ছিনিমিনি খেলা= নষ্ট করা।
সোনায় সোহাগা= মধুর মিলন।
কলুর বলদ= পরিশ্রম করে কিন্তু ফল পায় না।
উনপাঁজুরে= দুর্বল।
উনিশ-বিশ= সামান্য পার্থক্য।
গা ঢাকা দেওয়া= নিজেকে লুকিয়ে রাখা।
পগার পার= পলায়ন করা।
রুই-কাতলা= বড় বড় লোক।
নিয়মিত, সাজানো সাজেশনমূলক প্রস্তুতিই আপনাকে কাঙ্খিত ফলাফল ও লক্ষে পৌঁছতে সাহায্য করবে।
আশা রাখি আপনারা আমাদের সাইটের সাবস্ক্রাইবার হয়ে আমাদের উৎসাহ প্রদান করবেন।