বাংলা প্রস্তুতি: বাগধারা || Exam Preparation: Bangla

 বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রায়েই আসে এমন কতগুলো বাগধারা। বাংলা বাগধারা বরাবরই পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাগধারা গুলো দেখে নিতে পারেন।


বাংলা প্রস্তুতি: বাগধারা



ঝাঁকের কই - ঝাঁকে যায় সমপ্রকৃতির লোক এক সাথে থাকতে ভালবাসে।

ঝিকে মেরে বউকে শেখানো - পরোক্ষ উপায় অবলম্বন করে শিক্ষা দেয়া।

ঠেলার নাম বাবাজি - বিপদে পড়ে তোষামুদি।

পড়ে পাওয়া'- চৌদ্দ আনা বিনা পরিশ্রমে যা পাওয়া যায়।

পরের ধনে পোদ্দারি, লোকে বলে লক্ষ্মীশ্বরী - পরের অর্থ যথেচ্ছ ব্যয় করে বড় মানুষি দেখানো।

পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা-পরের ক্ষতি করে নিজের স্বার্থ সিদ্ধ করা।

পাকা ধানে মই দেওয়া- কাজ সফল হওয়ার সময় বিঘ্ন ঘটানো।


পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়- সব লোকের স্বভাব এক রকম হয় না।

পেট ভরে তো মন ভরে না- নিজের প্রয়োজন মিটলেও আকা-ক্ষা যায় না।

ফাঁকি দিলে ফাঁকে পড়ে - অপরকে ঠকাতে গেলে নিজেই ঠকতে হয়।

বড় হবে তো ছোট হও – বড় হতে গেলে খুব বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন।

বরের ঘরের পিসি, কনের ঘরের মাসি- দুটি বিরুদ্ধ পক্ষের উভয়ের সাথেই যে সদ্ভারের ভান করে।

বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায় শাসনের দাপটে পূর্ণ শান্তি বিরাজ করে।

বাড়া ভাতে ছাই –ফল প্রাপ্তির সময় বাধা-বিপত্তি।

প্রবলের উপরও প্রবল আছে-অযোগ্য লোকের দুর্লভ জিনিসের প্রতি লোভ

প্রধান অপেক্ষা অপ্রধান দৃঢ়- অন্তরের গোপন কথা প্রকাশ করার প্রবল ইচ্ছে সত্ত্বেও বলা যায় না।


বামন হয়ে চাঁদে হাত

বাঁশের চেয়ে কঞ্চি শক্ত

বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না- মন চাইলেও বলতে না পারা।

বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ - বৃদ্ধের যুবকের মত সাজসজ্জা।

বেল পাকলে কাকের কি? - পরের সুখে বা ঐশ্বর্যে নিজের কি লাভ বা সুখ?



ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানে না - জানা বিষয়ে অজানার ভান করা।

ভাগের মা গঙ্গায় পায় না-- পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ না করলে কাজ সম্পন্ন করা যায় না।

ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো, যেদিন যায় সেদিন ভাল দুঃখের সময় কষ্ট থাকবেই, তারমধ্যে দু-এক দিন

যদি সুখে কাটে তা ভালো।

ভিক্ষার চাল, কাঁড়া আর আকাড়া-- বিনা মূল্যে যা পাওয়া যায় তাই লাভ।


মরা হাতি লাখ টাকা – গুণী লোক বিপদে পড়লেও তার গৌরব অক্ষুন্ন থাকে।

মশা মারতে কামান দাগা--সামান্য ব্যপারে বড় আয়োজন।

যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ- শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত 'আশা পোষণ করা।

যেমন বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেতুল - শঠের সঙ্গে শঠ ব্যবহার।

যে মেঘ গর্জায় সে মেঘ বর্ষায় না--বহু আড়ম্বরে লঘু ক্রিয়া হয়।

ৱাই কুড়িয়ে বেল-- অর্থ অর্থ জমা করে অনেক জমানো।

ষোল কড়াই কানা – সবগুলিই ত্রুটিপূর্ণ।

সমুদ্রে শয্যা যার, শিশিরে ভয় কি তার-- চারিদিকের নানা বিপদের মধ্যে অর্থ বিপদ তেমন কিছু না।

সস্তার তিন অবস্থা-- সুলভ জিনিসের নানা দোষ।



কথার কথা (গুরুত্বহীন কথা): গতকাল যে বিষয়ে বলেছিলাম, সে বিষয়ে কোন উদ্যোগ নিও না, ওটা ছিল কথার কথা।

কাঁচা পয়সা (নগদ টাকা): কিছু দিন আগেও সে গরিব ছিল, বর্তমানে কাঁচা পয়সার মানুষ হয়ে গরিবকে দেখতেই পারে না।

কেঁচে গড়ুষ (নতুন করে আরম্ভ করা): সারা বছর লেখা পড়া করলেও পরীক্ষার আগে পুরাতন পাঠগুলো কেঁচে গুড়ুষ না করলে ভাল ফল আসা করা যায় না।

খয়ের খা (গুণগায়ক): বিচক্ষণ রাজনীতিবিদরা খয়ের খাঁদের পছন্দ করেন না।

খুঁটির জোর (পৃষ্ঠপোষকের সমর্থন): খুঁটির জোর ছাড়া দুর্নীতি করে রেহাই পাওয়া যায় না।

গলগ্রহ (পরের বোঝা হয়ে থাকা): লেখাপড়া করেছ, এখন আর বাবার গলগ্রহ না হয়ে একটা কিছু করো।


গড্ডালিকা প্রবাহ (অন্যের অন্ধ অনুকরণ): গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে নিজের বুদ্ধিমত চলা ভাল।

গৌরচন্দ্রিকা (ভূমিকা): গৌরচন্দ্রিকা বাদ দিয়ে আসল কথা বলো।

গোবরে পদ্ম ফুল (নীচ বংশে মহৎ ব্যক্তি): অত্যন্ত দরিদ্র ও অশিক্ষিত পরিবারের ছেলে নিজ যোগ্যতার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন, এ যেন গোবরে পদ্মফুল।

ঘাটের মড়া (অতি বৃদ্ধ): সুন্দরী মেয়েটাকে মা টাকার লোভে ঘাটের মড়ার সাথে বিয়ে দিল?

ঘোড়া রোগ (অতিরিক্ত প্রত্যাশা): ঘোড়া রোগ থাকলে শান্তি পাওয়া যায় না।

চোখের বালি (বিরক্তির কারণ): কারো চোখের বালি না হয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলা ভাল।

চিনির বলদ (যে খাটে অথচ ফল পায় না): সারা জীবন চিনির বলদের মত কাজ করেই গেলাম, সুখ-শান্তি কিছু বুঝলাম না।



চাঁদের হাট (আনন্দের প্রাচুর্য): ধনে-জনে হামিদ সাহেবের সংসার যেন চাঁদের হাট।

চক্ষুদান (চুরি করা): চক্ষুদান স্বভাবটা বাদ দিতে পারলে মিজানকে সবাই ভাল বলতো।

ছাই চাপা আগুন (অপ্রকাশিত প্রতিভা): শান্তনুর মধ্যে ছাই চাপা আগুন আছে, একদিন সে মানুষ হবেই।

ছ-কড়া ন-কড়া (সস্তা): এত সুন্দর বাড়িটা ছ-কড়া ন-কড়া করে বিক্রি করা ঠিক হয় নি।

ছিনিমিনি খেলা (অপব্যয় করা): টাকা পয়সা নিয়ে ছিনিমিনি খেল না, সময়ে কাজ দেবে।

জিলাপির প্যাচ (কূটবুদ্ধি): নয়নকে সহজ মনে হলেও ওর মধ্যে রয়েছে জিলাপির প্যাচ।

জগদ্দল পাথর (কঠিন বিষয়): দায়িত্বটা যেন আমার উপর জগদ্দল পাথর হয়ে চেপে আছে।

ঝাকের কৈ (একই দলভুক্ত): পরীক্ষায় নকল চলে বলে সবাইকে ঝাঁকের কৈ ভাবা ঠিক নয়, ভাল ছেলে- মেয়েরা নকল করে না।



বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রায়েই আসে এমন কতগুলো বাগধারা। বাংলা বাগধারা বরাবরই পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাগধারা গুলো দেখে নিতে পারেন। আজকে আমরা বাংলা বাগধারা নিয়ে পোস্ট করণলাম যেন, বাংলা বিষয়ে বাগধারা থেকে আসা প্রশ্নগুলো উত্তর করা যায়। 


উপরোক্ত বাগধারাগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে বাগধারা বিষয়ে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ হবে ইনশাল্লাহ।



ঝোপ বুঝে কোপ মারা (অবস্থা বুঝে সুযোগ গ্রহণ): ঝোপ বুঝে কোপ মারার কৌশল চয়নের জানা আছে।

টনক নড়া (সচেতন হওয়া): ছেলে মেয়ের কোন খোঁজ রাখতো না ছেলে এখন সন্ত্রাসী আর মেয়ে প্রমোদবালা এবার বাবা-মায়ের টনক নড়েছে।

টক্কর দেওয়া (প্রতিযোগিতা করা): খান সাহেবের সাথে টক্কর দেয়া আমাদের ঠিক হবে না।

টাকার গরম (অর্থের অহংকার): টাকার গরমে মুরুব্বিদের অপমান করা মূর্খের কাজ।

ঠোঁট কাটা (স্পষ্ট বক্তা): ঠোঁট কাটা লোকদের মেকি সমাজে মূল্য নেই।

ঠাট বজায় রাখা (চাল চলন ঠিক রাখা)। ঠাট বজায় রেখে লাভ নেই, নিজের সামর্থ অনুযায়ী চলো।


ডুবে ডুবে জল খাওয়া (গোপনে কাজ করা): কে যে ডুবে ডুবে জল খায়, সব আমর জানা

আছে।

ডুমুরের ফুল (যার দেখা পাওয়া যায় না)-- আগে এত আসতে, চাকরি পেয়ে যে একেবারে ডুমুরের ফুল।

ঢাক ঢাক গুড় গুড় (লুকোচুরি)-- ঢাক ঢাক গুড় গুড়ের কিছু নেই, বিষয়টি এখন সবাই জানে।

ঢাকের কাঠি (অকর্মণ্য সঙ্গী): সুবর্নের মতো ঢাকের কাঠির সাথে সম্পর্ক থাকা না থাকায় কিছু এসে যায়।

তীর্থের কাক (দীর্ঘ প্রতীক্ষাকারী): সামান্য সাহায্যের জন্য গরীব মানুষগুলো সেই থেকে তীর্থের কাকের মত বসে আছে।


তুলসী বনের বাঘ (ভন্ড সাধু)-- তুলসী বনের বাঘেরাই ক্ষতি করে।

তুষের আগুন (দীর্ঘ স্থায়ী মানসিক যন্ত্রণা): সন্তান হারানো তুষের আগুন সবাই এর জ্বালা বোঝে না।

খোতা মুখ ভোঁতা হওয়া (গর্ব চূর্ণ হওয়া): ছেলের জন্যই তার খোতা মুখ ভোঁতা হলো।

দহরম মহরম (অন্তরঙ্গ সম্পর্ক): তাদের দুজনের মধ্যে বেশ দহরম মহরম আছে।

দা-কুমড়া সম্পর্ক (শত্রুতা): দুই ভায়ের মধ্যে এখন দা-কুমড়া সম্পর্ক।

দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু): নিজের অবস্থা ভাল হলে দুধের মাছির অভাব হয় না।

দাও মারা (লাভ করা): পিঁয়াজের ব্যবসায় এবার অনেকেই দাও মেরেছে।

ধামাধরা (তোষামোদকারী): ধামা ধরাদের জন্যই সমাজের আইন-শৃংখলার এ দুর্দশা।

ধরাকে সরা জ্ঞান করা (কোন কিছুকে তুচ্ছ মনে করা): কটা টাকার মানুষ হয়েই ধরাকে সরা জ্ঞান করতে পারে।


ধরি মাছ না ছুঁই পানি (এমনভাবে কাজ করা যাতে দায়িত্ব থাকে না)। এ বিষয়ে আমার ভূমিকা ধরি মাছ না ছুঁই পানি।

ননীর পুতুল (অত্যন্ত আদুরে)। তোমার মত ননীর পুতুলকে দিয়ে কাজ হবে না।

নিজের কোলে ঝোল টানা (স্বার্থপর): সম্পার মা নিজের কোলে ঝোল টানা ছাড়া কিছু বোঝে না।

নাক উঁচু (অহংকারী): বিয়ের ব্যাপারে অত নাক উঁচু করো না নিজের দিকটা একটু ভাবো।

নেই আঁকড়া (না-ছোড় বান্দা)। তার মতো নেই আঁকড়া লোকের সাথে তোমার কথা বলতে যাওয়া ঠিক হয় নি।


পায়াভারী (অহংকারী): পায়াভারী স্বভাব ভাল না।

পুকুর চুরি (বড় রকমের চুরি): কর্মচারীদের পুকুর চুরির জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার পথে।

পুঁটি মাছের প্রাণ (ক্ষুদ্রপ্রাণ ব্যক্তি); পুঁটি মাছের প্রাণ নিয়ে বড় কাজ করা যায় না।

পাকা ধানে মই দেওয়া (প্রায় সমাপ্ত কাজ পন্ড করে দেওয়া): সে আমার সাথে এমন ব্যবহার করল যেন আমি তার পাকা ধানে মই দিয়েছি।


ফেঁপে উঠা (ধনবান হওয়া); চাঁদাবাজি করে লোকটা ফেঁপে উঠেছিল, এবার ধরা পড়েছে।

ফাঁদে পা দেওয়া (চক্রান্ত না বুঝে বিপদে পড়া): আগে জানলে কি আর কেউ ফাঁদে পা দেয়?

বক ধার্মিক (ভন্ড): বক ধার্মিক লোকেরা মেকি মুখোশে আদর্শের কথা বলে বেড়ায়।

বালির বাঁধ (অইে যা নষ্ট হয়ে যায়): ধনীর সাথে বন্ধুত্ব যেন বালির বাঁধ, দুদিনেই শেষ হয়ে যায়।

বিড়াল তপস্বী (ভন্ড লোক): সাধু সেজে থাকা বিড়াল তপন্থীদের বড় গুণ ।


ভেজা বিড়াল (দায়ে পড়ে ভাল মানুষ): মৌটুসী আস্ত ভেজা বিড়াল তাকে বিশ্বাস করো না।

জুঁই ফোঁড় (হঠাৎ আবির্ভূত): নির্বাচনের সময় অনেক ভুঁই ফোঁড় নেতা দেখা যায় ।

মাছের মা (নিজের সন্তানের জন্য মায়া নেই এমন মা): দুটো সন্তান রেখে মহিলা অন্যের ঘরে চলে গেল, ঠিক যেন মাছের মা।

মাকাল ফল (অন্তঃসারশূন্য): মীনা সুন্দরী কিন্তু কোন কাজের নয়, ঠিক যেন মাকাল ফল।

মগের মুল্লুক (অরাজকতা): জোর করে জমি দখল করে রাখবে মগের মুল্লুক পেয়েছ নাকি?

মিছরির ছুরি (মুখে মধু অন্তরে বিষ): ডলির কথা যেন মিছরির ছুরি, শুনতে ভাললাগে কিন্তু অন্তরে গিয়ে ঘা লাগে।


যমের দোসর (ভয়ানক লোক); গ্রামের মাতব্বর যমের দোসর তার থেকে সবাই দূরে থাকতে চায় ।

রগচটা (যে একটুতেই রেগে যায়): রগচটা লোক রাজনীতি করতে পারে না।

রাবণের চিতা (দীর্ঘস্থায়ী দুঃখ): একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে বৃদ্ধার অন্তর রাবণের চিতার মত জ্বলছে।

লেফাফা দুরস্ত (অতিরিক্ত বাবুভাব): লেফাফা দুরস্ত স্বভাব বাদ দিয়ে কাজে মন দাও।

লালবাতি জ্বলা (ব্যবসা গুটানো): বেহিসেবি হলে দোকানে তো লালবাতি জ্বলবেই।

শাপে বর (মন্দের বদলে ভাল হওয়া): বাড়ি থেকে চলে গিয়ে তার শাপে বর হয়েছে, সে এখন একজন বড় অফিসার ।


শাঁখের করাত (উভয় সংকট): একদিকে জামাই অন্যদিকে ছেলে, কেউ কাউকে দেখতে পারে না; এ যেন শাখের করাতের মধ্যে পড়েছি।

শিরে সংক্রান্তি (আসন্ন বিপদ): আমার এখন শিরে সংক্রান্তি আর তুমি রসিকতা করছো!

শনির দৃষ্টি (কুদৃষ্টি): শনির দৃষ্টির মধ্যে আছি যা করতে যাই তাতেই লোকসান।

ষোল আনা (সম্পূর্ণ): ষোল আনা সুখী লোক পাওয়া যায় না।

সাক্ষী গোপাল (নিষ্ক্রীয় দর্শক): সাক্ষী গোপালের মত সবাই দাঁড়িয়ে দেখলো ছিনতাইকারী কিভাবে ছিনতাই করে।


সাপে নেউলে (প্রচন্ড শত্রুতা): সুস্মিতা ও সুমির মধ্যে এখন শাপে নেউলে সম্পর্ক দুদিন আগেও ছিল গলায় গলায় ভাব।

সরিষার ফুল দেখা (চোখে অন্ধকার দেখা): ঠিকমত লেখা পড়া না করলে পরীক্ষার সময় চোখে সরিষার ফুল দেখতে হবে।

সোনার পাথর বাটি (অসম্ভব বস্তু): তোমার গত্ম আমার কাছে সোনার পাথর বাটির মতো মনে হলো।

হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল): পাঁচশ' টাকায় এখন আমার হাতের পাঁচ এ থেকে ধার দিতে পারবো না।

হ-য-ব-র-ল (বিশৃংক্মখলা): অঙ্কের উত্তর এমন হ-য-ব-র-ল করে লিখেছ কেন?

হাতটান (চুরির অভ্যাস): নয়নের হাতটানের অভ্যাস আছে।

হাটে হাঁড়ি ভাঙা (গোপন কথা প্রকাশ করা): আমার সাথে দুই নম্বরী করলে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেব।


বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রায়েই আসে এমন কতগুলো বাগধারা। বাংলা বাগধারা বরাবরই পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাগধারা গুলো দেখে নিতে পারেন। আজকে আমরা বাংলা বাগধারা নিয়ে পোস্ট করণলাম যেন, বাংলা বিষয়ে বাগধারা থেকে আসা প্রশ্নগুলো উত্তর করা যায়। 


উপরোক্ত বাগধারাগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে বাগধারা বিষয়ে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ হবে ইনশাল্লাহ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url